1. navodiganta@gmail.com : https://www.navodiganta.com/ https://www.navodiganta.com/ : https://www.navodiganta.com/ https://www.navodiganta.com/
  2. live@www.navodiganta.com : news online : news online
  3. info@www.navodiganta.com : নব দিগন্ত :
রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০৯:৫২ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "নব দিগন্ত" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।
শিরোনাম :
সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত বাহিনীর ২ সহযোগী অস্ত্র-গোলাবারুদসহ আটক.. হাজীগঞ্জে মার্কন্টাইল ইসলামি লাইফ ইন্সুরেন্সের ব্যবসা পরিকল্পনা প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত।। চাঁদপুর জমিন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চক্ষু চিকিৎসা শিবিরের উদ্বোধন। সাংবাদিক সাগর রুনির হত্যাকারী দুইজন ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশকে ঢেলে সাজাতে হবে: প্রধান বিচারপতি বাঘাইছড়িতে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের হামলায় গাড়িচালক আহত.. কচুয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত জমি সংক্রান্ত বিরোধে কচুয়ায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই আহত শিবির করায় চাকুরী হলো না:: সাদিক কায়িমের হুঁশিয়ারি একাধিক সন্তান নেয়া ও পরিববার পরিকল্পনা নিয়ে পশ্চিমা দৈত নীতি নিয়ে ইসলামিক স্কলার মাওলানা আহমদ উল্লাহর বিশ্লেষণ

সাধু সাবধান ভারতীয় ফাঁদে গভীর সংকটে দেশ।

  • প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৪৭ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টারঃ স্টাফ রিপোর্টারঃ  কয়েকদিনে বাংলাদেশের মিডিয়ায় বেশ কিছু খবর সরিয়ে ফেলতে দেখা গেছে। বড় গণমাধ্যমগুলো খবর এডিট করেছে অথবা দুঃখ প্রকাশ করেছে। এছাড়া অপরিচিত গণমাধ্যমগুলো কোন ধরনের তথ্য বা সূত্র ছাড়াই সংবেদনশীল খবর প্রচার করতে দেখা গেছে। এরকম অন্তত একটি খবর রয়েছে, যেটির ব্যাপারে ভারত সরকারও কথা বলেছে। তাই বিষয়টিকে সহজভাবে দেখার সুযোগ নেই।এই সপ্তাহেই জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির মিটিংয়ে নেতাদের সম্পদ ও শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে, এরকম একটি খবর প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার প্রকাশ করে। প্রথম আলো সরাসরি হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের নাম উল্লেখ করে শিরোনাম দেয় যে, তাদের ব্যাপারে এনসিপির সভায় আলোচনা হয়েছে। কিন্তু প্রথম আলো এনসিপির আভ্যন্তরীণ সভার খবর এত বিস্তারিত কার কাছে পেল, সেই সূত্রের নাম উল্লেখ করেনি। এই খবর প্রকাশের পর হাসনাত আব্দুল্লাহর নামকে ঘিরে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এমনকি হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তারপর প্রথম আলো আকস্মিক শিরোনাম পরিবর্তন করে হাসনাতের নাম সরিয়ে দেয় এবং খবরের ভেতরেও বেশ কিছু পরিমার্জনা করা হয়। যদিও কোন সূত্র থেকে তারা আগের তথ্য পেয়েছিল আর কেনইবা সমালোচনার পর পরিবর্তন করল, তার কোন যৌক্তিক ব্যাখ্যা হাজির করতে পারেনি প্রথম আলো। এ তো জাস্ট একটা উদাহরণ। সাম্প্রতিক সময়ে দিনাজপুরে ভবেশ রায় নামের একজনের মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এটিকে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতনে হত্যা’ হিসেবে আখ্যা দেয়। যদিও বাংলাদেশ পুলিশের দাবি, তাকে হত্যাই করা হয়নি। তার মৃত্যু হয়েছে স্বাভাবিকভাবে। পরে বাংলাদেশ সরকার প্রধানের মূখপাত্র শফিকুল আলম ভারত সরকারের বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করার ঘোষণা দেন। ভবেশ রায়ের মৃত্যু স্বাভাবিক নাকি হত্যাকাণ্ড -সেটি নিয়ে যখন বিতর্ক চলছে, তখন কোন ধরণের তথ্য যাচাই বা নির্ভরযোগ্য সূত্র ছাড়াই অন্তত ৭টি মূলধারার গণমাধ্যমে এটিকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে ঘোষণা করে খবর প্রকাশ করা হয়েছে। ডেইলি স্টার থেকে শুরু করে কালবেলা, আমাদের সময়, আজকের পত্রিকা, মোহনা টিভি সহ আরও বেশ কিছু গণমাধ্যম এটিকে হত্যাকাণ্ড বলছে। তারা কীভাবে ভারতের সুরে এটাকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে চালিয়ে দিচ্ছে, প্রশ্ন এটা নয়। প্রশ্ন হলো, এই সংবাদগুলো কে লিখছে?এখানেই বড় টুইস্টের দেখতে পাওয়া যায়।আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং বিষয়ক সাবেক কর্মকর্তা কদরুদ্দিন শিশির তুলে ধরেছেন, এই ৭টি মিডিয়ার প্রতিবেদন করেছে মাত্র ৩ জন মানুষ। এবং প্রতিটি জায়গায় প্রতিবেদনগুলো প্রায় একই রকম স্টাইলে একইভাবে লেখা। এর মধ্যে ডেইলি স্টার এর দিনাজপুর প্রতিনিধি কংকন কর্মকার একটি রিপোর্ট করেছেন তার পত্রিকায়, যেটি ইতোমধ্যে ডেইলি স্টার সরিয়ে নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছে এবং জানিয়েছে, তারা নতুন করে রিপোর্টটি মূল্যায়ন করে বুঝতে পেরেছে যথাযথভাবে তথ্যপ্রমাণ ও সূত্রগুলো যাচাই না করেই– সেটি প্রকাশ করা হয়েছিল।তবে ৭টি মিডিয়ার মধ্যে ৪টি মিডিয়ার প্রতিবেদন করেছে একজন ব্যক্তি। তিনি হলেন, এই সবকটি সংবাদমাধ্যমের বিরল উপজেলা প্রতিনিধি এবং একইসাথে আওয়ামী লীগ নেতা এম এ কুদ্দুস বা মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস।এএফপির এই প্রাক্তন কর্মকর্তা বলছেন, এম এ কুদ্দুস ২০১৯ সালে বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সদস্য ছিলেন, এবং একই বছর তিনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন। সংবাদমাধ্যমে এসবের খবর ও ছবি প্রকাশিত হয়েছে। ৫ আগস্টের পর তিনি অনেকটা আত্মগোপনে আছেন বলে তার এলাকার একটি সূত্র দাবি করেছে।এর বাইরের আরেকজন প্রতিবেদক যিনি দু’টি মিডিয়ায় এই নিউজটি  করেছেন, তার নাম সুবল চন্দ্র রায়। যিনি এই দুই প্রতিষ্ঠানের বিরল উপজেলা প্রতিনিধি এবং তিনিও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। তিনিও ২০২২ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হওয়ার জন্য প্রচারণা চালিয়েছিলেন। এই সুবল চন্দ্র আবার একই সাথে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। বিবিসি বাংলা তাদের একটি প্রতিবেদনে সুবল চন্দ্র রায়ের ইন্টার্ভিউ নেয়ার সময় এই পরিচয় দিয়েছে। সেই একই সুবল চন্দ্র রায় প্রতিবেদক হয়ে আবার দুই জায়গায় রিপোর্ট করেছেন। এই দুজন আওয়ামী লীগ নেতার প্রতিবেদন হুবহু মিলে যাওয়ার মাধ্যমে এটা প্রতীয়মান হয় যে, তারা দুজন সমন্বয় করেই প্রতিবেদনটি করেছেন। আওয়ামী লীগের দুজনের সমন্বয়ে সংবাদ, দেশের মানুষ জানার আগেই ভারত সরকার থেকে কড়া ভাষায় বিবৃতি -একসাথে করলে বিষয়টি অন্যদিকে ভাবতে বাধ্য করে। সঙ্গে এও প্রশ্ন ওঠে যে, বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো এখনও কি কাদের হয়ে কাজ করছে? সাংবাদিকদের একটাগ্রুপ ইচ্ছাকৃত বিপ্লবের পর স্বাধীনতার সুযোগকে অপব্যবহার করছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে সংবাদ প্রকাশ করে পেশিস্টদের সুবিধা দিতে মরিয়া।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট