দিগন্ত ডেস্কঃ শিবির সভাপতির ইফতার মাহফিলে দেয়া বক্তব্য নিয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ফেসবুকে এক স্টেটাসে বলেন, শিবিরের ইফতারে শিবির সভাপতির বক্তব্যের একটা পয়েন্ট শেয়ার করার জরুরত অনুভব করছি। ইদানীং ‘ইনক্লুসিভ’ শব্দটা খুব চাউর হইছে, তো শিবির ‘ইনক্লুসিভ’ কীনা, এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছেন শিবির সভাপতি। ইসলামপন্থীদের মধ্যে যারা শিবিরকে ‘লিবারেল’ হওয়ার অভিযোগ দেয়, তাদের জন্য জরুরী।
তো, শিবির সভাপতি বললেন, আমরা ইসলামী সংগঠন। ইসলাম যতখানি ইনক্লুসিভ, আমরাও ততখানি ইনক্লুসিভ। ইসলাম হলো হাতে-কলমে ইনক্লুসিভ। অন্যান্য মতবাদ তাত্ত্বিকভাবে নিজেকে অনেক ‘ইনক্লুসিভ’ দাবি করে, কিন্তু ব্যবহারিকভাবে ইসলামের চাইতে বেশি ‘ইনক্লুসিভ’ আসলে কেউ হইতে পারেনাই।
এরপর তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেছেন, ইসলামের গণ্ডির ভেতর যতটুকু ইনক্লুসিভ হওয়া সম্ভব, তারা ততটুকুই ইনক্লুসিভ। আরেকটা জিনিস বললেন, চাইলে গণঅভ্যুত্থানের পরে তারা অনেক কিছুই করতে পারতেন, যাতে শর্ট টাইমে শিবির অনেক ফেইম পাইতো। কিন্তু, শিবিরের কিছু রেস্ট্রিকশন (ধর্মীয়) আছে, সেটার জন্য শিবির বাকি সবার মত সব কিছু করে না। তাদের গোল শর্ট টার্ম সাফল্য না, লং টার্ম ইম্প্যাক্টের।
তো, শিবির সভাপতি এইযে ক্লিয়ার একটা স্ট্যান্স নিলেন, এটার জন্য তিনি এপ্রিসিয়েশন পাওয়ার যোগ্য। নতুন নতুন শব্দ বাজারজাত করে আমরা দেখছি নতুন বন্দোবস্তের নামে পুরাতন বন্দোবস্তকেই নতুন বোতলে পুরে হাজির করা হচ্ছে। শব্দের বদল হয়েছে, আদর্শিক অবস্থান বদলায়নি। তার উপর শব্দের ভেলকিবাজি করে কওমে লূতকে এন্ট্রি দেয়ার চেষ্টা হয়েছে, শব্দের ভেল্কিবাজি করে শহীদ আবু সাঈদের মূর্তি বানানোর চেষ্টা হয়েছে।
কিন্তু, এই শব্দের ভেল্কিবাজিকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে ইসলামের গণ্ডিকে সামনে নিয়ে এসে ইসলাম এবং অন্য সকল মতবাদের মধ্যে স্পষ্ট লাইন এঁকে দেয়ার জন্য আমি শিবির সভাপতিকে মোবারকবাদ জানাই।—আসিফ মাহমুদ