হাতকড়াসহ পালানো আসামির নাম শাহনেওয়াজ আবির রাজু (৩০)। সে যাদুরচর ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়ি গ্রামের আলী আজগরের ছেলে। তার বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও মাদক কারবারের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পরিবারসহ স্থানীয়দের দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আসামি শাহনেওয়াজ আবির রাজুর বিরুদ্ধে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় এক প্রতিবন্ধী স্কুলশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পর গ্রামবাসীর তোপের মুখে অভিযুক্ত রাজু পরিবারসহ নিজ গ্রাম ছেড়ে ধনারচর চরেরগ্রামে তার খালা ও সাবেক মহিলা ইউপি সদস্য শিরিনা আক্তারের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ভুক্তভোগী স্কুলশিক্ষার্থীর পরিবার পুলিশে অভিযোগ দেয়। ধর্ষণ, মাদক ব্যবসা এবং অস্ত্র প্রদর্শন করে স্থানীয়দের ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে রাজুকে গ্রেফতার করতে সোমবার রাতে এসআই আউয়াল হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল সাবেক মহিলা ইউপি সদস্য শিরিনা আক্তারের বাড়িতে অভিযানে যায়।
এ সময় তল্লাশি চালিয়ে কয়েক পিস ইয়াবাসহ রাজুকে আটক করে হাতকড়া পড়ায় পুলিশ। এ সময় রাজু, তার মা এবং খালাতো বোন (শিরিনার মেয়ে) পুলিশের ওপর হামলা করে। এসআই আউয়ালে হাতে কামড় দেয় এবং শরীরে আঘাত করে। সুযোগ পেয়ে হাতকড়াসহ পালিয়ে যায় রাজু।খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এসআই আউয়ালকে উদ্ধার করে। পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে রাজুর মা আবেদা আক্তার রাজিয়া (৪৮) এবং খালাতো বোন রুনা আক্তারকে (২৩) আটক করে থানায় আনা হয়। এ সময় ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি দেশি রামদা উদ্ধার করে পুলিশ। ইউপি সদস্য আব্দুল বাতেন বলেন, ‘সোমবার রাতে পুলিশের অভিযান হয়েছে। এ সময় পুলিশকে আঘাত করে আসামি রাজু হাতকড়াসহ পালিয়েছে।’
রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) নবিউল ইসলাম মঙ্গলবার সকালে এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘একজন পুলিশ সদস্য চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তার অবস্থা গুরুতর নয়।’এ বিষয়ে জানতে রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমানের সঙ্গে সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।এএসপি মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সাক্ষী দেওয়ার জন্য কর্মস্থলের বাইরে আছি। বিস্তারিত বলতে পারছি না। তবে জেনেছি যে পুলিশ সদস্যকে কামড় দিয়ে আহত করেছে। তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’পরিদর্শক (তদন্ত) নন্দ লাল চৌধুরী বলেন, ‘পলাতক রাজু ধর্ষণ মামলার আসামি। তবে কেউ কেউ বলছেন পুলিশ কৌশলে আসামীকে পালাবার সুযোগ করে দিয়েছে।