মূলত সমাজ নষ্ট করেছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিরা। তারা আল্লাহর অলিদের অবমাননা করেছেন। তাই রাষ্ট্র মেরামতের কাজ একমাত্র আলেম সমাজের মাধ্যমেই করা সম্ভব। রাষ্ট্রের কাজটা আজ ফ্রিতে করে দিচ্ছে আলেম সমাজ। সরকারি টাকায় বড় বড় অবকাঠামো উন্নয়ন করা যাবে। লক্ষ কোটি দিয়ে টাকা দিয়ে অনেক স্ট্রাকচার করা হয়েছে, তার কোন অস্তিত্ব আছে, থাকবে না। টাকা পয়সার মদদে কারো কোন স্ট্রাকচার, ইতিহাস ও কল্পকথা বানালে তা টিকবে না।আরও পড়ুনঃ রাজধানীতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা
আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন আরও বলেন, বিয়ে থেকে এখন তালাক বেশি হয়ে গেছে। ঘরে ঘরে অশান্তি। এতে মাদ্রাসা শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব বেড়েছে। কারণ তারাই সুখে থেকে শান্তিতে ঘর সংসার করছে, সমাজকে লিড দিচ্ছে। গার্মেন্টস কিংবা কর্পোরেট হাউসে যারা চাকরি বাকরি করছেন তারা কিন্তু ঘর সংসার করতে পারছেন না। সমাজ তৈরি করতে পারছে না। টাকা পয়সা রোজগার করছেন। এতে নিজেদের জীবনে যেমন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে তেমনি সমাজের জন্য ক্ষতি বয়ে আনছেন। শুধুমাত্র একজন মানুষ তৈরি মনোভাব নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার প্রতি সবাই এখন গুরুত্ব আরোপ করছেন। এ মনোভাব পরিবর্তনে আলেম সমাজের গুরুত্ব অপরিসীম।যারা রাজনীতি করছেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় আছেন, রাষ্ট্র পরিচালনার স্বপ্ন দেখছেন। তারা কিন্তু আগে দিল ঠিক করেন। ইসলামী সমাজ, ইসলামী রাষ্ট্র করার ব্যাপারে কে কতটুক কাজে আসবেন। এই বিশাল সম্মিলিত শক্তিকে কীভাবে কাজে লাগানো যায় তা ভেবে দেখবেন। তা না হলে যে অসভ্য সমাজ, অসভ্য রাজনীতি তৈরি করে দিয়ে যাচ্ছেন। তার পরিণতি কিন্তু ভালো কিছু বয়ে আনবে না।চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী ইসলামপুর দরবার শরীফের ৮১ তম ইছালে ছাওয়াব মাহফিল প্রতিবছর ফুরফুরা শরীফের পীরে কামিল, মুজাদ্দিদে জামান, শাহছুফি আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আবু বকর ছিদ্দিকী আল কুরাইশী (রহ.) এর সুযোগ্য খলিফাদ্বয় পীরে কামিল আলহাজ্ব হযরত মাও. শাহছুফি মো.ইয়াছিন (রহ). ও পীরে কামিল আলহাজ্ব ছুফি মো. খলিলুর রহমান (রহ). এর প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।১৬ ও ১৭ জানুয়ারি বৃহস্পতি ও শুক্রবার মাহফিলের বয়ান করেন ফুরফুরা দরবার শরীফ ভারত, আব্দুল্লাহিল মারুফ ছিদ্দিকী আল কোরাইশী, দেশের প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ আলহাজ হযরত মাওলানা মো. রুহুল আমিন আফসারী, আন্তর্জাতিক বক্তা আলহাজ হযরত মাওলানা নেছার আহমাদ, পীরজাদা আলহাজ হযরত মাওলানা মু. কুতুবুল আজম খান, হযরত মাওলানা শরীফ হাবিবুর রহমান যুক্তিবাদী, মাওলানা মাজহারুল ইসলাম, হযরত মাওলানা আমীর হোছাইন, মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান, হযরত মাওলানা মুহাম্মদ বেলাল হোসাইন চিশতী, মাও. মিজানুর রহমান, মাও. হোসাইন আহমেদ খলিফা, হাফেজ শাহ রহমতুল্লাহ, হাফেজ মোস্তফা ও হাফেজ মাও. মাকসুদুর রহমানসহ স্থানীয় ওলামায়ে কেরামগণ।ইন্তেজামিয়া কমিটির পক্ষ থেকে মাহফিলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন মাওলানা মাঃ জোবায়ের হোসাইন, মাঃ আবু জাফর ও ইসলামপুর দরবার শরীফ টাস্ট্রের ব্যবস্থাপক মো. আবুল খায়ের ফরায়জী।