দিগন্ত ডেস্কঃ রোববার(৫ জানুয়ারি) সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের ইউটিউব চ্যানেলে ‘বিশেষ লাইভে যুক্ত হন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর ডালিম (বীর বিক্রম)’ শিরোনামের এক লাইভে যুক্ত হোন প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তা মেজর ডালিম।
যেই লাইভটি ইউটিউব ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছে বলে ইউটিউব হতে ইলিয়াছকে ফোন করে জানানো হয়েছে। যে লাইভের ভিউ হয়েছে ৮ লক্ষ।
মেজর ডালিম বলেন, মুজিব মারা যায়নি, একটি সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হয়েছে। বাকশাল বিদায়ের পরে কোটি কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে এসে শুকরিয়া আদায় করেছে।যার শুরুটা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধ হতে। ভারত ছিকিমের আদলে বাংলাদেশকে গ্রাস করে অঙ্গরাজ্য বানানোর জন্য সেনাবাহিনীকে দুর্বল করে রক্ষী বাহিনী গঠন করে হত্যা রাহাজানি লুটপাট শুরু করল নারীদের ইজ্জত লুন্ঠন করল।সেনাবাহিনী বুজতে পেরে এমন সময় ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সেনাবিদ্রোহে রক্ষী বাহিনীর মুখোমুখি লড়াইয়ে মুজিবের পরিবারের সদস্যরা নিহত হয়।
তিনি বলেন, শেখ মুজিব তার জুলুমের মাত্রা এতোটাই তীব্র করেছিল স্বৈরাচারী আচরণের মত যে, তখন মানুষ রবের কাছে মুক্তি চাচ্ছিল যে তার জুলুমের অবসানের জন্য।
মেজর ডালিম আরো বলেন, “তথাকথিত নেতারা যখন ভারত পালিয়ে গেল। ছিল না যখন কেউ নেতৃত্বের দেওয়ার। সমঝোতা নিয়ে সবাই ব্যস্ত। পাকিস্তান বাহিনী যখন বাঙালির উপর হামলে পড়েছিল। তখন মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা আসে। আমি তখন পাকিস্তান আর্মিতে। মেজর জিয়ার ঘোষণা শুনে মনে হলো, আর বসে থাকার সময় নেই। আমরা তখনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে গেলাম।” মুজিব নিহত হওয়ার খবরে রাস্তায় রাস্তায় কোটি কোটি মানুুষ নেমে এসে মিষ্টি বিতরণ করে এবং গোপনে থাকা রাজনৈতিক দল মানুষকে নিয়ে সেনাবাহিনীকে বরণ করে নেয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সাথে তিনি (মেজর ডালিম) জড়িত ছিলেন। পরপর কয়েকটি ক্যুয়ের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে ৪ হাজারের অধিক সেনাবাহিনী হত্যা করেন।ভারত নিজেদের সার্থ উদ্ধার করতে গিয়ে জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করে।অবশেষে মেজর ডালিম ২৪ এর ছাত্র বিপ্লবীদের লাল ছালাম জানান এবং তাদের সাথে শেষ বয়সে দেশের কাজে উৎসর্গ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।