কচুয়ায় ধর্ষণের দায়ে মেহেদী হাসান গ্রেপ্তার
-
প্রকাশিত:
বুধবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৫
-
১৪১
বার পড়া হয়েছে
স্টাফ রিপোর্টারঃ বিউটি পার্লারের বিউটিশিয়ানকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মেহেদী হাসান(১৭) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে কচুয়া থানা পুলিশ। মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ধর্ষিতার খালার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কচুয়া থানার পুলিশ মেহেদীকে গ্রেপ্তার করে।গ্রেপ্তার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুল হালিম। তিনি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধীত-২০২০) এর ৭/৯(১) ধারায় ধর্ষিতার খালার রুজু করা অভিযোগের ভিত্তিতে আসামী মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করে চাঁদপুর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।ভুক্তভোগীর খালা সেলিনা বলেন, আমার কচুয়া বাজারে সুইটি বিউটি পার্লার নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানে আমার ভাগ্নি বিউটিশিয়ান হিসেবে কর্মরত রয়েছে। আমার বাড়ি করইশ গ্রাম থেকে ভাগ্নি আমার সাথে পার্লারটি দেখাশোনা করতো। মেহেদী করইশ গ্রামের সিদ্দিক প্রধানীয়া বাড়ির আনোয়ার হোসেনের ছেলে। বখাটে যুবক মেহেদী হাসান বিভিন্ন সময় আমার ভাগ্নিকে উত্ত্যক্ত করতো।সোমবার বিকালে ভাগ্নিকে আত্মীয়র বাড়ী দাওয়াত খেতে পাঠালে পূর্ব হইতে ওৎ পেতে থাকা মেহেদী হাসান আমার ভাগ্নিকে জোরপূর্বক ভাবে অপহরণ করে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সায় করে হযরত শাহ নেয়ামত শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪র্থ তলার একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে ফেলে আসে। পরে আমি খবর পেয়ে তাকে নিয়ে অভিযোগ দায়ের করি। তবে ধর্ষণের অভিযোগ করা হলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক করইশ গ্রামের এক লোক বলেন, তারা দুজনই একই গ্রামের তাদের মধ্যে আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক।তা নাহলে অটো করে একটা মেয়েকে শাহনেয়ামত শাহ উচ্চ বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে একাডেমিক ভবনের ৪র্থ তলায় কিশোরীকে এনে ধর্ষণ করা সম্ভব? এ ব্যাপারে শাহ নেয়ামত শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- সোমবার আমি অফিসের কাজে উপজেলা শিক্ষা অফিসে ছিলাম। ধর্ষণের বিষয়ে আমার জানা নেই।
সংবাদটি শেয়ার করুন
আরো সংবাদ পড়ুন