ইসমাইল হোসেন বিপ্লবঃ কচুয়া উপজেলার ১০ গোহট উত্তর ইউনিয়নে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের স্থানীয় নেতাকর্মীদের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ে অনুষ্ঠানে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার দুপুরে ওই ইউনিয়নের নাউলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় জামায়াতের নেতাকর্মীরা জানান , ওয়ার্ড কর্তৃক আয়োজিত ঈদ পূণর্মুলনী অনুষ্ঠান করার জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়। জামায়াতের প্রোগ্রামের সংবাদ পেয়ে স্থানীয় সুন্নি জামায়াতের লোকেরা “আলা হযরত” নামক পাঠাগারের উদ্যোগে পাঠাগারের সভাপতি আবদুল কাদের কোষাধ্যক্ষ মাওলানা শাহজালাল তাদের নেতৃত্বে জামায়াতের প্রোগ্রাম বানচালের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। তার-ই ধারাবাহিকতায় তারাও একই দিনে একই সময়ে ঐ বিদ্যালয়ে ঈদ পূণর্মিলনী করার ঘোষণা দেয় এবং প্রধান শিক্ষকের নিকট অনুমতি চায় আহলে সুন্নি জামায়াত । বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামায়াতকে সকাল ৮ টায় এবং সুন্নিদেরকে বেলা ১১ টায় প্রোগ্রাম করার জন্য অনুমতি দেয়। জামায়াত সকাল ৮ টায় তাদের প্রোগ্রাম শুরু করে প্রায় শেষ দিকে প্রধান অতিথি চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী মুহাদ্দিস আবু নছর আশরাফীর আসলে আহলে সুন্নাত জামায়াতেরা মিছিল বের করে বিভিন্ন উসকানী মূলক স্লোগান দিতে থাকে এবং জানালা দিয়ে জামায়াতের প্রোগ্রামে ইট পাটকেল মারতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে বিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকে জামায়াত নেতা কর্মীদের উপর হামলা করে এতে ৬ জন জামায়াত কর্মী আহত করেন ।আহতরা হলেন,মো: শাহপরান, স্বপন মিয়া , মো: আরিফ, ফাহাদ, এমরান । আহতদেরকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। জামায়াতের কচুয়া উপজেলা আমীর এডভোকেট আবু তাহের মেসবাহ বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে,এ হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। উক্ত ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন, বিএনপি’র মনোনীত মোশারফ হোসেন মিয়াজী ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনের পক্ষ থেকে দপ্তর সম্পাদক শরীফ শাহাজি উক্ত ঘটনা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। বিএনপির মোশারফ মিয়াজির পক্ষে এদিকে এক জরুরী সমাবেশ ডেকে দ্রুত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার অনুরোধ জানান।
কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আজিজুল ইসলাম কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,জামায়াতে ইসলামীর প্রোগ্রামে সুন্নি জামায়াতের লোকেরা হামলা করেছে শুনেছি, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম কচুয়া উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে দোষীদের বিচারের দাবি ও দ্রুত গ্রেপ্তার করার জন্য কচুয়ার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেন ।